পাড়ার মোড়ের লাইব্রেরীর সামনে ফ্যাকাশে মুখে দাঁড়ায়া আছি। চোখ লাইব্রেরীর শেলফগুলোর দিকে। হরেক রকম বই। গল্প,উপন্যাস, প্রবন্ধ, ধর্মীয় বই - এবং অন্যান্য।
বিক্রেতা একমনে মোবাইলে লুডু খেলে যাচ্ছে। করোনার এ টাইমে বেচা বিক্রি নাই বললেই চলে। খেলার মাঝখানে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে নিজের মোবাইলে আবার চোখ রাখলো। বুঝবার চেষ্টা করল আমাকে অল্পক্ষনের চাহনিতেই । তার চোখগুলো খেয়াল করলাম। চকচক করছে। তার মন বেজায় খুশি। এই রাত ১০ঃ৩০ এর সময়ে যখন শাটার বন্ধ হবে হবে ভাব তখন কাস্টমার পাওয়া তো নেহাত ই সৌভাগ্য।
- এইযে ভাই, কি লাগবে বলেন?
- জ্বি, এক পিস কারেন্ট এফেয়ার্স দিন ।
দোকানীর হাস্যোজ্জ্বল তেলতেলে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এবার মিল পাচ্ছি আমার সাথে। দুজনের মুখ ই একইরকম ফ্যাকাশে। কিন্তু পুরো ভিন্ন দুটি কারনে।
এই বিসিএস , সরকারী চাকরীর সমাচার ই শেষমেশ আমাদের সাহিত্যের আর সাহিত্য চর্চার ১২ টা বাজিয়ে ১৩ টার কাটায় ঝুলায়ে দিল। দোকানি মনে মনে অভিশাপ দিলেও দিতে পারে। বলা যায়না।
0 Comments:
Post a Comment