Far, Very Far Away,
There's a saying in Bengali, "নিজের ঢোল নিজেকেই পেটাতে হয়, নয়ত অন্যকে দিলে তা ফাটায়ে ফেলবে", which means, "You have to play your drum, otherwise others might break it by beating carelessly if given to them.
পাড়ার মোড়ের লাইব্রেরীর সামনে ফ্যাকাশে মুখে দাঁড়ায়া আছি। চোখ লাইব্রেরীর শেলফগুলোর দিকে। হরেক রকম বই। গল্প,উপন্যাস, প্রবন্ধ, ধর্মীয় বই - এবং অন্যান্য।
বিক্রেতা একমনে মোবাইলে লুডু খেলে যাচ্ছে। করোনার এ টাইমে বেচা বিক্রি নাই বললেই চলে। খেলার মাঝখানে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে নিজের মোবাইলে আবার চোখ রাখলো। বুঝবার চেষ্টা করল আমাকে অল্পক্ষনের চাহনিতেই । তার চোখগুলো খেয়াল করলাম। চকচক করছে। তার মন বেজায় খুশি। এই রাত ১০ঃ৩০ এর সময়ে যখন শাটার বন্ধ হবে হবে ভাব তখন কাস্টমার পাওয়া তো নেহাত ই সৌভাগ্য।
- এইযে ভাই, কি লাগবে বলেন?
- জ্বি, এক পিস কারেন্ট এফেয়ার্স দিন ।
দোকানীর হাস্যোজ্জ্বল তেলতেলে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এবার মিল পাচ্ছি আমার সাথে। দুজনের মুখ ই একইরকম ফ্যাকাশে। কিন্তু পুরো ভিন্ন দুটি কারনে।
এই বিসিএস , সরকারী চাকরীর সমাচার ই শেষমেশ আমাদের সাহিত্যের আর সাহিত্য চর্চার ১২ টা বাজিয়ে ১৩ টার কাটায় ঝুলায়ে দিল। দোকানি মনে মনে অভিশাপ দিলেও দিতে পারে। বলা যায়না।
আজকের রাতের আবহাওয়া বড়ই উত্তপ্ত। বিছানার সাথে কোনভাবেই শান্তি করিয়া পিঠ লাগানো যাইতেছেনা । এপাশ ওপাশ করিয়াই কাটিয়া যাচ্ছে, এভাবেই বুঝি বাকি রাতটাও কাটিবে।
ঘুমের দেখা মিলিতেছেনা। একখানা ঘুমের ঔষধ গিলিয়া ইউটিউবে অডিওবুক প্লে করিয়া কানে এয়ারফোন গুজে চোখ বন্ধ করিয়া শুইয়া রইলাম । নাহ, লাভ হইতেছেনা। কেমন যেন একখানা অস্বস্তি ভাব সারা শরীরে।
উঠিয়া গিয়া বারান্দা ঘেষিয়া দাড়াইলাম। পরক্ষনেই আকাশ পাতাল তফাত বুঝিতে পারিলাম । ঘরের ভিতর এতটাই গরম, অথচ এই বারান্দাটায় দাড়াইলেই মনে হয় কেউ বুঝি প্রকৃতিতে সেন্ট্রাল এসি লাগাইয়া দিয়াছে। বোনাস হিসেবে পাগলাটে বাতাস তো আছেই।
খুব করিয়া একখানা সিগারেট এর এখন দরকার ছিল। বারান্দায় দাড়াইয়া এমন আবহাওয়াতে সিগারেট ফুকিতে ফুকিতে রাত্রী দেখিবার অন্যরকম একটা অনুভূতি রইয়াছে । পাশেই এখখানা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর নিচে নৈশ প্রহরী ফ্যাক্টরির গেটের ভিতরে থেকেই হাটাহাটি করে ঘুরপাক খাইতেছে অনবরত। আজকে তার রাতের খাবারের মেনু নির্ঘাত জম্পেশ ধরনের ছিল বোধ করি ।হাটিয়া হজম করিয়া নিচ্ছে। ফ্যাক্টরির সিঁড়িতে দেখিলাম দুই জন মানব গামছা বিছাইয়া শুইয়ে রইয়াছে। তাহাদের মধ্যে একজনের পা দেখা যাইতেছে শুধু। আরেকজনকে নিবিরভাবে পর্যবেক্ষন করিবার চেষ্টা চালাইলাম । পরনে ফরমাল প্যান্ট, স্যান্টু গেঞ্জির সাথে ইন করা। কিছুক্ষন পর পর উঠিয়া মোবাইলে কি যেন দেখিয়া আবার মোবাইল টা পাশে রাখিয়া এক হাত চোখের উপর দিইয়া শুইয়া রইলেন। নাহ! ইহাদের কর্মকান্ড দেখিয়া আর এই আবহটা নষ্ট করিবার মানে হয়না।
আচ্ছা , কোন একদিন যদি রাত্তিরে গিয়ে দাড়াইয়া বলি, "আমার থাকবার কোথাও কোন জায়গা নাই। দয়া করে সিড়ির ওখানে একটা রাত থাকতে দেবেন? আমি ভোরের আগেই আবার চলে যাবো। " আমার অনুমান বলিতেছে প্রথমে কিছুক্ষন সিকিউরিটি গার্ডটি "বহিরাগতদের প্রবেশ এবং সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে তাহার দ্বায়িত্ববোধ" - ইহার উপর প্রবন্ধ তিনি আমাকে শোনাইবেন । যখনই দেখিবেন আমি কিছু পয়সা তাহাকে দেবার পায়তারা আরম্ভ করিয়াছি তৎক্ষনাৎ গলিয়া মোম হইয়ে যাইবেন। টাকা দিয়া আজকালকার যুগে মুখের বানী কিনিয়া লওয়া যায়। অন্যদিকে, একজন মানব যত বেশি নিম্নপেশার হয়, তাহাদের কথা ততটাই উচ্চমানসম্পন্ন হইয়া থাকে সচারচর। পেশা এবং জীবনযাত্রার উপর তাহা নির্ভর করে। আমার জীবনের ইহা খুব নিবির একটা উপলব্ধী বলা যায়। তাহাদের কথা শুনিয়া মনে হইবে, এইতো সেদিন ই কোন এক মন্ত্রীর সাথে নৈশভোজের দাওয়াত পাইয়াছেন কিন্তু আত্মসম্মানবোধ এর দরুন তিনি সেখানে উপস্থিত হন নাই।
আচ্ছা, কল্পনায় একখানা সিগারেট ধরাইলে কেমন হয়?
না থাক।
আজকের সিগারেট টা বরং তোলা থাক।
গতকাল নৈশকালে স্বপ্ন দেখিয়াছি , একটি খুব অপ্সরী গোছের মেয়ে আমার পাশে আসিয়া বসিয়াছে। এত সুন্দর মেয়ে আমি আগে কোথাও দেখিয়াছি বলে মনে পড়েনা। মেয়েটি অনেক মায়াভরা কন্ঠেই আমার দিকে নিজের হাত বাড়াইয়া দিল, এরপর বলিল, "আপনার হাত টা দিন" । আমি অনেকটা মন্ত্রমুগ্ধ হইয়া আমার ডান হাতখানা তার হাতের মধ্যে দিয়া দিলাম। হঠাতই মেয়েটি সুপারী কাটার শর্তা দিয়া আমার হাতের প্রতিটি আংগুল একটা একটা করিয়া কাটিতে আরম্ভ করিল। আমি ব্যাথায় কোকাইতে কোকাইতে জিজ্ঞাসা করিলাম, "আরে! এইসব কি করছেন আপনি?" উত্তরে মেয়েটি বলিল," একদম চুপ" বলেই খিলখিল করিয়া হাসি শুরু করিল। সারা রুম ভর্তি সেই হাসির শব্দ শোনা গেল মনে হয়। ছেলেমানুষি হাসি । এরপরই ঘুম টা ভাংগিয়া গেল।
আপাতত নারী বিষয়টার এখানেই ইতি টানিলাম। ঘুমের প্রয়োজন।শরীরের ভেতর থেকে ঘুম বাবু আমায় স্মরন করিয়াছেন। বিছানায় শরীর টা এলাইয়া দিয়ে ঘুমের প্রস্তুতি লইলাম । দেখি, গতকালের স্বপ্নের বাকী অংশটাকে ধোকা দিয়া কোনরূপ ফিরাইয়া আনা যায় কিনা।
ও হ্যা,
শুভ জন্মদিন , শর্তাকুমারী। অনেক ভালোবাসা রইল।
Dear wife,
As I sit down to write this post, I am filled with immense gratitude and love for you. You have been my rock, my support system, and my best friend throughout our journey together.
I am grateful for the way you always make me feel loved, valued, and appreciated. Your unwavering belief in me has given me the strength and courage to pursue my dreams and ambitions. Your constant encouragement and support have been instrumental in my personal and professional growth.
I am grateful for the way you make our home a warm and inviting place, filled with love and laughter. Your cooking and home-making skills are unparalleled, and I feel lucky to have you as my partner. I am grateful for the way you have stood by me through thick and thin, and the way you have always been there for me, no matter what.
I am grateful for your patience, understanding, and forgiveness. You have shown me what true love means, and I am blessed to have you as my wife. I am grateful for every moment we have shared together and I am looking forward to many more years of love, laughter, and happiness.
Thank you for being my everything. I love you more than words can express.
Forever and always.
এক.
বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি। কুকুর-বেড়াল জাতের বৃষ্টি । ইংরেজী মেটাফোর এর আক্ষরিক ট্রান্সলেশনের এই দিকটা খুব আমোদপূর্ন। শীতকালের এ সময়টা সচারচর বৃষ্টি হয়না।
বারান্দায় এসে অনেকটা গা এলিয়ে দিয়ে বসলো সাবরিনা। প্রায় দিন চারেক হল বাসার বাইরে কোথাও যায়না । অনেকটাই একঘরে হয়ে আছে। খাওয়া দাওয়া ঘুম সব কিছুই বিলাসিতার মত হয়ে গেছে। সব কিছুই কেমন যেন অসহ্য মনে হচ্ছে। একমনে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে সে।
হঠাত তার মায়ের কন্ঠে হুশ ফিরল। তার মনে হচ্ছে কোথায় একটা যেন হারিয়ে গেছিল সে ।
"এভাবে থাকলে আরো বদ্ধ হয়ে যাবি । তোর বন্ধুরা ফোন করেছিল। মিলির স্মরনে কিছু একটা করতে চায় ওরা ক্যাম্পাসে। তুই ওদেরকে নিয়ে এরেঞ্জ কর বিষয়টা। তাতে মিলির আত্মা শান্তি পাবে।"
মিলি এবং সাবরিনা। সেই প্লে থেকে একসাথেই পড়াশুনা করত। একসাথেই স্কুল, কলেজ পার করে একই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল। দূর থেকে বোঝার কোন উপায় নেই আদতে তারা বন্ধু নাকি আপন বোন। কি হয়েছিল সেদিন, কেনই বা মিলি এরকম একটা কাজ করলো কোনভাবেই সাবরিনা সেই রহস্যের জট খুলতে পারেনি এখনো। দিব্যি ভালো মানুষ এইত দিন চারেক আগেই দুজনে কত হৈ হুল্লোর করে ওয়ার্ড কাপ এর ম্যাচ দেখলো দুজন। কথা ছিল এবার সেমিস্টার ফাইনালে দুজন ঘুরতে যাবে দার্জিলিং। সেসব এখন স্বপ্ন। সেদিন ম্যাচের পরের দিন মিলির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। তদন্ত-পোস্টমর্টেম এ এসেছে সুইসাইডাল কেস। আর ভাবতে পারছেনা সাবরিনা। কোন মতে চোখ মুছে বের হয়ে সোজা ইউনিভার্সিটির দিকে রওনা হল সে।
মিলির স্মরনে সাবরিনা একটা বেশ বড়সড় চ্যারিটি ইভেন্ট এর আয়োজন করেছে ক্যাম্পাসে অন্যান্য সহপাঠিদের সাথে নিয়ে।
"Feed The Poor"
সাথে সুইসাইডাল এওয়ারনেস নিয়েও বেশ একটা সুন্দর স্পিচ দেয় সে। সবাই তার প্রশংসাই করল বটে।
দুই.
সন্ধ্যে হবে হবে ভাব। সাবরিনা ক্ষানিক আগেই বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছে সে ফিরছে একটু পরেই। ইউনিভার্সিটির ডিন নাকি কি সব এপ্রেশিয়েশন লেটার দিতে চায় চ্যারিটি ইভেন্ট এর জন্য। যদিও এ নিয়ে তার মধ্যে কোন হইচই নেই। থমথমে হয়ে আছে এখনো ভেতরটা। শোক কাটিয়ে ওঠাই মুষ্কিল হয়ে গেছে ।
সাবরিনা বাবা মায়ের মুখে মৃদ্যু হাসি লেগে আছে। বাসার বারান্দাতে বসে তারা দুজন বৃষ্টি দেখছে। সন্ধ্যের বৃষ্টির একটা অন্যরকম স্বাদ আছে। দুজন বসে মিলির সুইসাইডের স্মৃতিচারন করছে। করবে না ই বা কেন। ছাদ থেকে মিলিকে তারাই তো ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল। অথচ এমন পৈশাচিক কাজ করেও তাদের মনের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বোধ নেই । এইত সেদিন ও মিলি তাদের বাসায় আসার পর সাবরিনার মা নিজের মেয়ের মত করে আপ্যায়ন করল। কত শত গল্প , হাসাহাসি কতকিছু। অথচ আজ সব হিসেবটা উলটো হয়ে গেল।
সাবরিনার মা হুট করেই হাসিমুখ টা গোমড়া করে দিয়ে বলল, "কাজটা কি আমরা ঠিক করলাম আনিস?"
সাবরিনার বাবা জবাবে বললেন, " এছাড়া আর কি বা করব বলো? আমাদের মেয়ের সিভিতে এখন মেয়েটা লিখতে পারবে সে একটা চ্যারিটির আয়োজন করেছে । মেয়েটার এনজিও জব করার অনেক ইচ্ছা, জানোনা তুমি? সোশ্যাল ওয়ার্কের প্রতি খুব ঝোক। এবার জব মার্কেটে ভালো একটা দাম পাবে। কি বলো ?"
বলেই দুজনে অট্টোহাসি শুরু করল। পৈশাচিক অট্টহাসি।
একটি বই বের করবার একটা শখ ছিল বা আছে কিংবা নাই।